ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রিভিউ: সবুজ পিচের নতুন পারথে অগ্নিপরীক্ষার সামনে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (১৩ই ডিসেম্বর ২০১৮)


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTJpBU67ZfrgstMkAplX7PluIgcUNfNIYYoVQOXeytcB5JIoxnDBEYw1y7ToXZ0_LgW_HMhEKD0RAlhRIWC0O4UsuLUC1xlFdpr05df48Gmcq0Tcmi771CYCMdf2XaoLMB3X_8PdwpzaA/s640/kohlipaineperth111218.jpeg
শুক্রবার পারথে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট 


ঠিক এক বছর আগে  ২০১৭-তে টানা বিদেশ সফর শুরুর মুখে বিরাট কোহলির সামনে ছিল সাউথ আফ্রিকা সফর। ফেভারিট হিসেবেই ভারতকে ধরা হয়েছিল, বলা হয়েছিল ভারতের যা বর্তমান বোলিং আক্রমণ, তাতে সাউথ আফ্রিকা থেকে সিরিজ জিতে আসার এটাই সেরা সুযোগ। কিন্তু সেই সফর খুব একটা সুখকর ছিল না ভারতীয় দলের কাছে। তারপর ইংল্যান্ডে লজ্জাজনক হার (যদিও হেড কোচ তো দল নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত!)। বোলাররা নিজেদের নিংড়ে দিয়ে অসাধারণ কাজ করলেও ব্যাটসম্যানেরা সমানে হতাশ করেছেন! আর আজ ঠিক একবছর পর, আবারও ফেভারিট হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু করেছিল ভারত। তারপরে এডিলেডে ঐতিহাসিকভাবে সফরের প্রথম টেস্ট জিতলেও অনেকগুলি প্রশ্ন থেকে গেছে বিরাট কোহলির সামনে। যদিও প্রশ্নগুলি সেই সাউথ আফ্রিকা সফর থেকেই চলছে, ইংল্যান্ড সফরে তা আরো তীব্র হয়েছিল, এখনও অবধি যার উত্তর মেলেনি। বিরাট এক ইন্টারভিউতে স্বীকার করেছিলেন যে, ২০১৭-তে, বিবাহ হওয়ার পরপরই সাউথ আফ্রিকা সফর ছিল এবং সেই জন্য মধুচন্দ্রিমার সময়গুলোতেও তাঁর মাথায় রাবাদা-মর্কেলদের কথা ঘুরত! তেমনই বিরাট কোহলি নিজের প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করছেন, তখনও অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রথমবার সিরিজ জয়ের চিন্তা নিশ্চয়ই তাঁর মাথায় ঘুরছে তা বলাই বাহুল্য! এডিলেডে জয়ের পর কোচ যখন "হেল উইথ পার্টি" করার ডাক দিয়েছিলেন, সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাটকে কিন্তু যথেষ্ট সংযত এবং সিরিজ জিততে বদ্ধপরিকর দেখিয়েছে!


এডিলেড থেকে পারথ আকাশপথে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার দূরত্ব। টাইম জোন-ও আলাদা (তাই খেলা শুরু হবে ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৭:৫০-এ)। মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় দল পারথে পৌঁছানোর পরই সংবাদমাধ্যমে যেটা সবচেয়ে বড়ো খবর হিসেবে উঠে এসেছে তা হল - বিবাহবার্ষিকীর উৎসবের মুহূর্তেও বিরাট নিজের এবং স্ত্রী অনুষ্কার ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাস সিট্ নিজের ফাস্ট বোলারদের জন্য ছেড়ে দিয়ে পেছনে ইকোনমি-ক্লাসে গিয়ে বসে এসেছেন। গত একবছর ধরে ভারতীয় পেস-ব্যাটারির যেভাবে উত্থান ঘটেছে, তাতে অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের তাঁদের খাতির-যত্ন বেশি করারই কথা। এডিলেডে অসাধারণ বল করে আসার পর পারথেও ভারতকে জিততে গেলেও সেই ইশান্ত-বুমরাহ-শামির দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে, সে বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই! বিশেষ করে মাত্র সাতখানা টেস্ট খেলা বুমরাহর কথা অস্ট্রেলীয় সমর্থকদেরও মুখে মুখে ঘুরছে! এডিলেডে তাঁর ১৪৫+ গতিতে টানা বল করে যাওয়ার ছবি তো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছে, এমনকি পুরো টেস্টের সবচেয়ে গতিশীল বলটিও বুমরাহর হাত থেকেই বেরিয়ে ছিল- ঘন্টায় ১৫৩ কিমি গতিবেগে।


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEig7sT0guvUYgQaRvQV268pfH3VO4PI250yn06zqgQvnVR7e_vD_kQXrCfRbUrsVqmNenk9qo3sFNcCPgxDhWhxqntLMjB9sYLGq8Su0Uj-skEPh4H06hP-ccGUycmYbhLw0N3lpmtBm04/s400/9406426-3x2-940x627.jpg
নতুন পারথ স্টেডিয়াম 
পারথে এবার খেলা হবে নতুন স্টেডিয়ামে, পুরোনো ওয়াকাতে নয়। সোয়ান নদীর তীরে অবস্থিত নতুন স্টেডিয়ামের নাম ওপটাস স্টেডিয়াম। ওয়াকা স্টেডিয়াম থেকে ওপটাস খুব একটা দূর নয়, মাত্র ১ কিমি দূরত্ব। পারথের নাম শুনলেই প্রথম যে কথাটা মনে পড়ে সেটা হল শত শতরানের মালিকের ব্যাট থেকে আসা ১১৪। '৯২-এর সফরের সেই ম্যাচে ভারত ৩০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারলেও হিউজ, মাকডরমট, রাইফেল, হুইটনিদের পারথের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের পিচে শাসন করে সচিন যে  ১৬১ বলে ১১৪ -এর অমর ইনিংস খেলেছিলেন  তা চিরকালীন লোকগাথায় ঢুকে গেছে। তার ষোলো বসন্ত পরের সুখস্মৃতিটিও অবিস্মরণীয়। এই পারথেই তো অনিল কুম্বলের ভারত সেই কুখ্যাত মাঙ্কি-গেট সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৭২ রানে হারিয়েছিল। কিন্তু এগুলি সবই ওয়াকাতে অর্জিত। বর্ডার-গাভাস্কার ২০১৮ ট্রফির দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ দিয়ে এই ওপটাস স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধন হবে। এর আগে এখানে দুটি মাত্র ওডিআই এবং একটি শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ হয়েছে। এছাড়া বিগ ব্যাশের কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পিচ কিউরেটর থেকে, যাঁরা শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ দেখেছেন তাঁরা এবং অন্যান্য ম্যাচ বিশেষজ্ঞ - সবাই একমত যে পারথে আগের মতোই গতিশীল পিচ দেখা যাবে এবং অবশ্যই বল উড়বে! পারথে এবারেও আগের ওয়াকা স্টেডিয়ামের মতোই একই মাটি ব্যবহার করে ড্রপ-ইন পিচ বানানো হচ্ছে এবং পিচ কিউরেটরের কথা অনুযায়ী, তিন দিনেও ম্যাচ শেষ হতে পারে! সাধারণত  ওয়াকাতে এই সময়ে ম্যাচ পড়লে পেসাররা বরাবরই সুবিধে পেতো।  "অস্ট্রেলিয়ান সামারে" পারথে প্রচন্ড গরম পড়ে বছরের এই সময়ে, তাপমাত্রা থাকে ৪২-৪৩ ডিগ্রি। কিন্তু কাছাকাছি সমুদ্র থাকায় বাতাস জ্বলীয় বাস্প সংগ্রহ করে আনে এবং যার ফলে ড্রপ-ইন গতিশীল পিচে আর্দ্রতা পেয়ে পেসাররা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠাই অলিখিত নিয়ম। তারপর  তৃতীয় দিনের পর থেকে পিচে ফাটল দেখা যাবে, যে ফাটলকে পেসার এবং স্পিনার উভয়ই কাজে লাগিয়ে উইকেট তুলবে।৪৭ বছর ধরে প্রায় একই ট্রেন্ড চলে এসেছে। নতুন স্টেডিয়ামেও এর অন্যথা হওয়ার কথা নয় - অন্তত সকল বিশেষজ্ঞের তাই মত।


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3F3JQ-FMBSFyE8teRNqylKfwIlEyQu-boiGZQn6oI5UEf-H77FrW-yC-K0jZAqdv5GNvwmJths345z5hqMUp7VmcLuoH9oiM8QKRALR2mrYVJC8g9GmIkXbLJ-T1vzdpOkYwHlz409VU/s400/283298.jpg
টিম পেন 
ব্র্যাডম্যানের শহর থেকে লিলির শহরে এসে অস্ট্রেলিয়া যেন প্রত্যাঘাত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এডিলেডে শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার টেল যেভাবে লড়াই করেছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার সব ব্যাটসম্যানই নাকি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে এবং তাঁরা পাল্টা লড়াই করে সিরিজে ফিরে আসতে এককাট্টা - এমনই বক্তব্য অধিনায়ক টিম পেনের। ওদিকে আবার প্রাক্তন অধিনায়ক পন্টিং, যিনি সিরিজ শুরুর আগে ভবিষ্যবাণী করেছিলেন যে অস্ট্রেলিয়া ৩-০ তে সিরিজ জিতবে, তিনি আবারও বলে দিয়েছেন যে- পারথে গতিশীল পিচে অস্ট্রেলিয়াই বেশি সুবিধে পাবে। অস্ট্রেলিয়া বরাবরই যেটা করে আর কী - কথার মাধ্যমে বিপক্ষ শিবিরকে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই চাপে রাখা! কিন্তু পন্টিং হয়ত ভুলে গিয়েছেন, বছরের শুরুতেই সাউথ আফ্রিকাও ভারতকে জো'-বার্গে গতি দিয়ে মারতে চেয়ে সবুজ পিচ বানিয়েছিল, কিন্তু ০-২ পিছিয়ে থাকা অবস্থাতেও ভারত ঘুরে দাঁড়ায় এবং ম্যাচ জিতে আসে। তাই সবুজ পিচ আর গতি দিয়ে ভারতকে মারা যাবে ভাবলে অস্ট্রেলিয়া ভুল করবে। অবশ্য আজকের অস্ট্রেলিয়ার খুব বেশি কিছু করে দেখানো মুশকিল।তারা নিজেদের শক্তিতে ভরসা রেখেই এগোতে চাইবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেরি প্যাকার-উত্তর অস্ট্রেলিয়া এত দুর্বল দল শেষ কবে দেখেছি- ভেবে বলতে হবে। ওয়ার্নার আর স্মিথ - মাত্র দু'জন খেলোয়াড়ের অভাবে গোটা অস্ট্রেলিয়া টিমটাতেই যেন থরহরিকম্প চলছে! স্টার্ক-হেজেলউড-কামিন্সের যে পেস আক্রমণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সামান্য গর্বটুকু করছে, তাঁদেরকেও তো এডিলেডে বেশ ফিকে লেগেছে, বিশেষ করে স্টার্ককে। নাথান লায়ন অস্ট্রেলিয়ার এখন একমাত্র ভরসা, বল হাতে তো বটেই, এমনকি ব্যাট হাতেও! শুধু কি তাই? ব্রাডম্যান, রিচি বেনো, চ্যাপেল, বর্ডার, টেলর, স্টিভ ওয়, পন্টিং - এতজন গৌরবময় অধিনায়কের জুতোয় পা গলিয়েছেন এমন একজন, টিম পেন - যিনি অধিনায়ক নির্বাচিত না হলে দলে জায়গা হত কিনা সন্দেহ! আগে অস্ট্রেলিয়াতে ১১-১২ জনের শক্তিশালী দল তৈরী করার রীতি ছিল, তারপর সেই দলের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি হতেন অধিনায়ক । কিন্তু এখন অস্ট্রেলিয়ায় এমন দুরবস্থা যে নেতাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার ঘুরে পেনের থেকে ভালো নেতা তাঁরা খুঁজে পাননি, তাই তিনিই দল সামলাচ্ছেন। স্যান্ড-পেপার কাণ্ডের পর দেশের জনগণের কাছে ভাবমূর্তি উদ্ধারের জন্য আবার এখন অস্ট্রেলিয়া "ভালোমানুষ" হয়ে ক্রিকেট খেলার চেষ্টাও করছে। কিন্তু স্লেজিং বন্ধ করে, বেশি "সৌজন্য" দেখতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেই পুরোনো ঝাঁঝটাই খেলায় উধাও। এহেন অবস্থায় পারথেরই আর এক বাসিন্দা - জাস্টিন ল্যাঙ্গার, যিনি বর্তমান অস্ট্রেলীয় কোচ- তিনি কীভাবে পরিস্থিতি সামলান সেটাই দেখার!


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhqtgjPP1E4zpzi4hzzfN1KREcY0Qy6YEEkJ1XDFMm1IkSUKIlSIe1O04qLa2A_HsRNFDqYu2Fv59bl71lK-82p1pvg2-F3ZX8UEUOgjGyXlNFqTxoQuEWi4mVQVBVoqgXE9QGb-zvPogM/s640/1622.jpg
পারথে অস্ট্রেলিয়াকে জেতাতে পারবেন মিচেল স্টার্ক?


ওদিকে প্রথম ম্যাচ জিতলেও বিরাটকে প্রশ্নগুলি চিন্তায় রাখছে (আগের লেখায় আলোচনা করেছিলাম)। ম্যাচের আগেরদিন পিচের যা ছবি পাওয়া যাচ্ছে, তাতে পিচ এতটাই সবুজ দেখাচ্ছে যে মাঠের সাথে পিচ আলাদা করা খুবই শক্ত!
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjnUWAfJgHMAqJL9XpdryoWj0K76_Ks7B_zgineQ73eeQEor8iD08ApigVq5smsw3TzP2b2_7GWpabmXeR1yIHaihTeYEaRJf5QvsJqDD7yF-ytkCj9C13NP9Yv1sNNBisMD2vplQAZNo/s400/WhatsApp+Image+2018-12-13+at+9.26.46+AM.jpeg
এই পিচেই খেলা হওয়ার কথা 
এহেন ব্যাটসম্যানদের আঁতকে ওঠার মতো পিচে বোলারদেরই দাপট দেখা যাবে তা বলাই বাহুল্য (যদি না হটাৎ ম্যাচ শুরুর আগে পিচের ঘাস কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়, আর সে সম্ভবনাও যথেষ্ট ক্ষীণ)! তাই বুমরাহ আরও একবার এই ম্যাচে বিরাটের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন। পারথে সুইং পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভবনা আছে। ভারত চার পেসারে যাবে কিনা সেটা ম্যাচের দিন সকালে ঠিক হবে। আর তাই হলে ভুবনেশ্বর চতুর্থ পেসার হিসেবে ঢুকবেন, উমেশের জায়গা হবে বলে মনে হয়না। অশ্বিনের চোট, তাই স্পিনার যদি খেলে, তবে জাদেজা খেলবেন, কারণ তার ব্যাটিং স্কিল। কুলদীপকে এই পিচে খেলালে সফল হওয়ার খুব ভাল সম্ভবনা থাকলেও খেলানো যাবে না, কারণ তাহলে বড্ডো আগে ব্যাটিং লেজ বেরিয়ে পরবে। আগের টেস্টে ফিল্ডিংয়ের সময় রোহিত কোমরে চোট পেয়েছিলেন। তিনি সুস্থ হতে না পারায় বিহারী পারথে সুযোগ পাচ্ছেন (চোটগুলো সাপে বর নয়তো?)। পৃথ্বী পায়ের চোট সারিয়ে হালকা ট্রেনিং শুরু করেছেন, বক্সিং-ডে টেস্টার আগে তাঁকেও ভারত পাচ্ছে না। তাই আরও একবার শেষ সুযোগ লোকেশ রাহুল এবং মুরলি বিজয়ের কাছে। অবসর-উত্তর ইন্টারভিউগুলিতে গৌতম গম্ভীর নাম না করে যে "কিছু" খেলোয়াড়দের কথা বলেছেন যারা "আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে পারফর্ম না করেও বেশি সুযোগ পান" - সেই দলে যে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল দুজনেই আছেন তা বলাই বাহুল্য (পান্থ-ও কি সেই দলেই যাচ্ছেন? )।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgyrtTb0d6QM6DXfbV01-6QC5Xg7qWtWOxQT-0gHXf3wAoad4-9s-5ehzNLw46JJKB7OljHssX_5Kas-nRMjQqsiyeYW3J1a4QBoCa7ZcK5cdbLwSkDkmgVQtgOutxH10m4yrBuINtgoh0/s320/283238.jpg
পারথে রাহুল সফল হতে কি পারবেন?
তবে আগেরদিন ম্যাচ শেষের পরপরই রাহুল নেটে ব্যাটিং প্রাকটিস করতে মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে শোনা গেছে, আর বেশকিছুদিন সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সিরিয়াস হয়েছেন? আর পান্থের প্রমান করার সময় এসেছে যে রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে যে শংসাপত্র দিয়েছেন, তা ভুল নয়! পারথেও তিনি সেট হয়ে গিয়েও উইকেট ছুঁড়ে আসার বিলাসিতা দেখালে পরের টেস্টে কি ১৫ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে ভারতের একমাত্র অপরাজিত দলের সদস্য পার্থিব প্যাটেলের সুযোগ হতে পারে? দেশের সেরা উইকেটকিপার ঋদ্ধিমানের রিহ্যাবও মোটামুটি শেষের মুখে, নতুন বছরের গোড়া থেকে হয়তো তাঁকে রঞ্জি খেলতে দেখা যেতে পারে। তাই পান্থ সুযোগের অপব্যবহার করলে তাঁর পক্ষে মুশকিল হবে।


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjMb7YBU3VFfCxCAdUUx9zQPjol7H0bClUnq8YEW1y1Z5ve52GLAb6SujxxKX40guQkyiiv5c_LO_Zv5YFdY1LCNCFXngDWHBHt2W4eKLWmNfwzTwzbr3IDWszb6Q-2U9QpDapujgytyQI/s320/WhatsApp+Image+2018-12-13+at+12.18.39+PM.jpeg
ভারতের নেট সেশন 
আশা করা যায় পারথের নতুন স্টেডিয়ামের গতিশীল সবুজ পিচে আরও একবার ব্যাট-বলের সমানে সমানে উপভোগ্য লড়াই দেখা যাবে। যদিও আরও একবার টস খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। টস হেরেও ম্যাচ জেতার নজির ইদানিংকালে খুব বেশি নেই। তাই শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টে এখন দেখার যে ভারত ২-০ করে অপরাজেয় হয়ে এগিয়ে যেতে পারে নাকি অস্ট্রেলিয়া ১-১ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। 


                                                                                                     ~ সৌরিত্র ব্যানার্জী        

                                                                                                  (বল পড়ে ব্যাট নড়ে ব্লগ থেকে পুনঃপ্রকাশিত )

Comments